সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাাইটি

রেজিঃ নং- এস-৬৫৭৮(৮৩২)/০৭

যে ভাবে শুরুঃ

আমরা যে সমাজে বাস করি সে সমাজে নানা পেশা, নানা বর্ণের মানুষের কৃষ্টি-কালচারের প্রতি দৃষ্টিপাত করে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি ও শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে কবি সেলিনা রশিদ, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় গড়ে তুলেন- “সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি”। একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে শুরু থেকেইে নানা রকম কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। শিক্ষা এবং সংস্কৃতিক অনন্য ধারা, মাইল ফলক দৃষ্টি ভক্সিগ এবং সমাজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করতে যার অবদান ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত। “সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ ফার্মস থেকে অনুমোদন লাভ করে।

যাদের হাতে শুরুঃ

কবি সেলিনা রশিদ আমাদের দেশে নারী লেখিকাদের মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন্ ক্ষেত্রে তার সক্রিয় অংশ গ্রহণেই, সকল শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ করে উৎসাহ বোধ করে যার প্রেক্ষিতে এই সংস্থা সক্রিয় ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তার সাথে নিরলস ভাবে যারা কাজ করে আসছে তারা হলেন আব্দুর রশিদ, আবুল বাশার শেখ, আনোয়ারুল আলম লিটন সিকদার, শরীফ রায়হান, শাহানা বেগম, সুজন মাহমুদ, সাইদুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ।

সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

 শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিক এলো-মেলো হাত গুলোকে একত্রিত করে সমাজের সর্বস্তরে একতার ফলাফল ছড়িয়ে দেওয়া।
 সুস্থ দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঠিক মূল্যায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখা।

সংস্থার চলমান প্রকল্প সমূহঃ

 সেলিনা রশিদ সাহিত্য পদক
 কবি সেলিনা রশিদ বৃত্তি ফাউন্ডেশন
 স্কুল পর্যায়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
 দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন
 প্রাইমারি স্কুলে শিশূু শিল্পী পুরষ্কার
 সেলিনা গীতি পুরষ্কার
 শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সহায়তা প্রকল্প
 প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কার্যক্রম
 প্রকাশনা প্রকল্প
 সাহিত্য ও সাংস্কৃতির আসর

সেলিনা রশিদ সাহিত্য পদক:

সাহিত্য সমাজের দর্পন স্বরুপ, যার মাধ্যমে একটি জাতির নানা দিক, দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থিত মানুষ জানতে পারে ও বুঝতে পারে। তাই সাহিত্য নিয়ে যারা ভাবেন, লিখেন তারা অবশ্যই জ্ঞানী এবং মহাজ্ঞানী। সাহিত্যিকদের জীবদ্দশায় সঠিক মূল্যায়ন আমাদের দেশে খুব একটা হয় না। এরই আলোকে ‘‘সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি” প্রবর্তন করেন ‘সেলিনা রশিদ সাহিত্য পদক’। যার মাধ্যমে সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং সমাজ সংস্কারদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়। কেননা এই তিনটি ক্ষেত্রেই সমাজের উন্নয়নের ধারা বহন করে। তাই উন্নয়নের বাহকদের সঠিক মূল্যায়নের জন্য প্রতি বছর সম্মাননা স্বরুপ দেয়া হয় সেলিনা সাহিত্য পদক।

 

কবি সেলিনা রশিদ বৃত্তি ফাউন্ডেশনঃ

এই প্রকল্পে প্রতি বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে যারা টেলেন্টপুলে বৃত্তি পান তাদেরকে দেয়া হয় সংবর্ধনা ও সম্মাননা পত্র। যেখানে অবিভাবক সহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত থাকেন।

স্কুল পর্যায়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও পরিদর্শনঃ

এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন এবং ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য নানা ধরণের শিক্ষামূলক বই ও উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নঃ

মেধাবী ও আর্থিক ভাবে সমস্যায় শিক্ষার্থীদের কে সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে। যার ফলে একজন প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থী টাকার অভাবে বা যে কোন সমস্যায় পিছিয়ে না পড়তে পারে এটি নিয়ে এই সংগঠন কাজ করে থাকে।

সরকারী প্রাইমারি স্কুলে শিশু শিল্পীদের সংগীত প্রতিযোগিতায় সেলিনা রশিদের শিশু শিল্পী পুরষ্কারঃ

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে, এই বিখ্যাত বানীকে সামনে রেখে এই প্রকল্পের কাজ শুরু। শিশুদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামী দিনের শিল্পী, কবি, গীতিকার। আর তাই সরকারী প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে শিশু শিল্পীদের বাচাই করে তাদের মধ্যে ‘সেলিনা শিশু সাহিত্য পুরষ্কার। যাতে তারা শিশুকাল থেকেই সংগীতকে আঁকড়ে ধরেই সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে।

সেলিনা গীতি পুরষ্কার:

জ্ঞানীদের কথা- গান নাকি আত্মার খোরাক। গানের মাধ্যমে শিল্পীরা শ্রোতাদের মন আকর্ষণ করে থাকে। একাটি গানের পেছনে যার অবদান তিনি হলেন ঐ গানের জন্মদাতা, যিনি গানটি লিখেছেন অর্থাৎ গীতিকার। অথচ আমাদের সমাজে গীতিকারদের কেউই চিনেই না। তাই গীতিকারদের সঠিক মূল্যায়ন করতে ‘সেলিনা গীতি পুরষ্কার’ প্রবর্তন করা হয়।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সহায়তা প্রকল্প:

মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান আর যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে ভঅলবেসে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শহীদের সুরা পান করেছেন তাদের অবদান জাতি কোন দিনই ভূলবে না। আমাদের সমাজে লক্ষ করলে দেখা যায় এ্খনো অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে। অসহায় হয়ে কেউ কেউ রাস্তায় ভিক্ষা পর্যন্ত করতে বাধ্য হয়েছে। এই দিকে লক্ষ করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের আর্থিক সহায়তা, খাদ্য বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ ও সংবর্ধনা সহ নানা সম্মাননা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে নানা বিষয় ভিত্তিক বই, সাময়িকী, ও মুখপত্র প্রকাশ করা হয়। যাতে সমাজের জীব বৈচিত্র ও দেশের নানা কৃষ্টি-কালচার, নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধীকারকে লিপিবদ্ধ করে তুলে ধরা হয়। 

প্রতিবন্দীদের নিয়ে কার্যক্রম:

সমাজে যারা শারিরিক ভাবে অচল, অবহেলিত, ও করুণার পাত্র ও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের জন্য নানা ভাবে আর্থিক সহযোগিতা, শিক্ষা উপকরণ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, বস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি নানা বিধ কাজ করে আসছে ‘সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি’। সেই সাথে স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে তাদের সাথে থেকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে থাকে এই সোসাইটি।

সাহিত্য সাস্কৃতির আসর:

নিজেদের সৃষ্টি শৈলিকে যাচাই বাছাই করে সকলের সামনে উপস্থাপন করার জন্য সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আসরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি সাহিত্য ও সংস্কৃতিক আসরের ব্যবস্থা করে থাকে।  তাতে দেশের কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীরা তাদের সৃস্টি পরিবেশন করে থাকেন।

আমাদের দেশীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি যেন প্রতিটি বাঙালীর হৃদয় ভেদ করে দেশের বাইরেও তার সুরভী ছড়িয়ে পড়তে পারে সে দিকেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে চায় সেলিনা এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটি।

শিক্ষার ইতিহাস